Uncategorized

৯ টি গুরুত্বপূর্ণ পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট স্কিল যা আপনার ব্যক্তিজীবন ও কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজন

Personal development হল একজন ব্যক্তির লক্ষ্য এবং মূল্যবোধ মূল্যায়ন করার একটি চলমান প্রক্রিয়া। মানুষ তার জীবনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে দক্ষতা এবং গুণাবলির সমন্বয়ে সেটা অর্জন করে। মানুষের সেই সমস্ত গুণাবলি গুলো তাদের পরিপক্বতা, সাফল্য এবং তৃপ্তিতে অবদান রাখতে পারে। মানুষ তাদের জীবনকে উন্নত করতে এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে নিজের গুণাবলি এবং Personal Development স্কিলের দিকে মনোযোগী হয়।

এই আর্টিকেলে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট স্কিল নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো আপনাকে, আপনার জীবনের লক্ষ্যে পৌছাতে এবং আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করবে।

পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট স্কিল কি?

 

সাধারণ ভাবে পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট স্কিল হচ্ছে সেই সমস্ত গুন বা দক্ষতা যা আপনাকে ব্যক্তিগত এবং পেশাগত উভয় জীবনেই পরিপক্ব হতে সহায়তা করবে। বলা যায় বিশেষ কিছু স্কিল আপনাকে উভয় ক্ষেত্রেই অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে । সেই সমস্ত দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে আপনি আপনার পটেনশিয়ালটির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারবেন। মানবজীবনে এই বিশেষ গুন গুলো অর্জন করার প্রক্রিয়া Self-development অথবা Personal Growth নামেও পরিচিত।

কেন পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট স্কিল গুলো জরুরি

আপনি নিজেদের মধ্যে সেই সমস্ত স্কিল গুলো ডেভেলপ করতে পারলে, সেগুলো আপনাকে ব্যক্তিজীবনে আরও কৌশলী হতে সাহায্য করবে। স্ট্রেটেজিক ভাবে পরিকল্পনা করে আপনার প্রফেশনাল লাইফেও আপনি সফল হতে পারেন।

পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট এর কিছু উদাহরণ,

পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট বিষয়টি একেক জনের কাছে একেক রকম হতে পারে। যেমন কিছু ব্যক্তি জন্মগত ভাবেই সেগুলোর অধিকারী হয় আবার কাউকে পড়াশুনা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়৷ আবার সকল ব্যক্তির একই ধরণের স্কিল ডেভেলপ করতে হবে বিষয়টি এমন নয়, আপনার জীবনের লক্ষ্যের উপর নির্ভর করে আপনি স্কিল গুলো অর্জন করতে পারেন। তবে কিছু স্কিল রয়েছে যেগুলো প্রতিটা মানুষ তাদের পারসোনালিটি সমৃদ্ধ করার জন্য অর্জন করতে চায় যেমন,

  • কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ দক্ষতা
  • আন্তঃব্যক্তিক গুণাবলি
  • সাংগঠনিক দক্ষতা
  • সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা
  • আত্মবিশ্বাস
  • সততা
  • অভিযোজন-যোগ্যতা
  • নৈতিকতা
  • নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা

এই পর্যায়ে আমরা এই ৯ টি গুণাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

১. কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ দক্ষতা

বলতে, লিখতে এবং অন্যকে সঠিক ভাবে শুনতে পারার ক্ষমতা হচ্ছে যোগাযোগ দক্ষতা। এই গুণাবলির মাধ্যমে একজন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির মনের ভাব বুঝতে পারে এবং নিজের অভিমত সঠিক ভাবে প্রকাশ করতে পারে।

যার মধ্যে এই গুণাবলি বা দক্ষতা থাকবে সে পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরিষ্কার ভাবে তার মতামত তুলে ধরতে পারবে এবং অবশ্যই সেটা অন্য পক্ষের কাছে ইতিবাচক ভাবে প্রকাশিত হবে।

২. আন্তঃব্যক্তিক গুণাবলি

এটি একান্তই ব্যক্তিগত একটা বিষয়, এটি একজন মানুষের ব্যক্ত ও অব্যক্ত আচরণের সমষ্টি। সে সমাজের মানুষের সাথে কেমন আচরণ করছে বিভিন্ন ঘটনায় তার অবস্থান কেমন এই বিষয় গুলো নিয়েই এই দক্ষতা। এই স্কিলের মাধ্যমেই নির্ধারিত হয় সমাজে তার অবস্থান কেমন এবং অন্য মানুষের সাথে তার সম্পর্ক কিরূপ।

৩. সাংগঠনিক দক্ষতা

সাংগঠনিক দক্ষতা বা Organization skills এর প্রভাব একজন ব্যক্তির, ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পেশাগত জীবন পর্যন্ত বিস্তৃত। আপনি নিজেকে কিভাবে পরিপাটি ভাবে অন্যের সামনে উপস্থাপন করছেন এটা যেমন এই দক্ষতায় পড়ে একই ভাবে আপনার কাজের পরিকল্পনা, শিডিউল ইত্যাদি সঠিক ভাবে নির্ধারণ করাও এর অংশ৷ সঠিক সংঘটন দক্ষতা একজন ব্যক্তির অনেক সময় বাঁচিয়ে দিতে পারে এবং মিস-কমিউনিকেশন এড়িয়ে সঠিক লক্ষ্যে পৌছাতে সাহায্য করতে পারে।

৪. সমস্যা সমাধান ক্ষমতা বা Problem-solving স্কিল

চ্যালেঞ্জিং এবং অস্বাভাবিক পরিস্থিতি দক্ষতার সাথে মোকাবেলার ক্ষমতাই হচ্ছে Problem-solving স্কিল। এই দক্ষতার অধিকারী ব্যক্তি বিরূপ পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখতে পারে এবং সঠিক সমাধানটি খুঁজে বের করতে পারে৷

৫. আত্মবিশ্বাস

নিজের ক্ষমতা, কর্ম এবং সিদ্ধান্তের প্রতি বিশ্বাসী হওয়াকেই মূলত আত্মবিশ্বাস বলে। আপনি যদি নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হোন তাহলে আপনার লক্ষ্যে নির্ভয়ে এগিয়ে যেতে পারবেন।

৬. অভিযোজনযোগ্যতা

অভিযোজনযোগ্যতা বা Adaptability হচ্ছে নতুন পরিবেশ এবং বিষয়ে দ্রুত, সহজে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার ক্ষমতা। এই গুন সম্পন্ন মানুষ দ্রুত নিজেকে ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে স্বাভাবিক রাখতে পারে একই সাথে বিরূপ পরিবেশেও নিজেকে শান্ত রাখতে পারে।

৭. সততা

সবাই সেই সমস্ত মানুষকে বিশ্বাস করে যারা নিজের জায়গায় সৎ এবং বিশ্বাসী। সততার মানে হচ্ছে পরিস্থিতি যাই হোক সব সময় সৎ এবং সঠিক থাকা। সততা একজন ব্যক্তির সুনাম বাড়ানোর পাশাপাশি উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে পারে৷

৮. কাজে নৈতিকতা

কাজের নৈতিকতাতে কেবল কঠোর পরিশ্রমই নয় বরং নির্ভরযোগ্যতা, দায়িত্ব, গুণ, সংকল্প এবং শৃঙ্খলাও অন্তর্ভুক্ত। ভাল কাজের নৈতিকতা সম্পন্ন লোকেরা উৎপাদনশীল হয়ে থাকে এবং সকলে তার সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব রাখে।

৯. নেতৃত্ব

নেতৃত্ব বা Leadership হচ্ছে অন্য ব্যক্তিকে সঠিক ভাবে পরিচালিত করার ক্ষমতা। একজন সঠিক নেতা অন্যদের কাজের প্রতি উৎসাহিত করতে পারে এবং লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করতে পারে। সে কর্মীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে পারে।

কিভাবে আপনার পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট স্কিল গুলো উন্নত করবেন

আমরা এতক্ষণ জানলাম একজন ব্যক্তির কোন কোন দক্ষতা গুলো অর্জন করা জরুরি, এবার আলোচনা করার চেষ্টা করব কিভাবে আপনি নিজের মধ্যে এই স্কিল গুলো নিয়ে আসতে পারেন।

আপনি পড়াশুনা, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, সেই সমস্ত গুণাবলি সম্পন্ন মানুষের সহচার্যে থেকে এই গুন গুলো অর্জন করতে পারেন এছাড়াও নিচের গাইডলাইন গুলো আপনাকে পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট স্কিল ডেভেলপমেন্ট এ সহায়তা করতে পারে,

ভয়কে জয় করুন

আপনার বৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধিতে ভয় প্রধান বাধা হতে পারে৷ আপনি যদি মানুষের সামনে কথা বলতে ভয়ে পান তাহলে এটি আপনাকে অনেক পিছিয়ে রাখবে। আপনাকে মানুষের সামনে কথা বলতে হবে, নিজের মতামত জানাতে হবে, প্রয়োজনে বিভিন্ন Spoken ক্লাসেও ভর্তি হতে পারেন।

জীবনে এগিয়ে যেতে ঝুঁকি নিতে হবে, সঠিক লক্ষ্য অর্জনে ঝুঁকির বিকল্প নেই, আপনি প্রয়োজনে ভাল উপদেষ্টা বা এমন কাউকে খুঁজে বের করতে পারেন যে আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।

লজ্জা পেলে চলবে না, নিজেকে নতুনদের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে, প্রতিদিন সম্ভব হলে নিজের পরিচিত জনের সংখ্যা বাড়াতে হবে তবে সেটা অবশ্যই এমন মানুষজন হবে যারা আপনার প্রফেশন বা টার্গেটে অবস্থান করে।

পড়ুন এবং জানুন

আপনি যত পড়বেন আপনার জ্ঞানের পরিধি তত বাড়বে। আপনি যে বিষয়ে কাজ করছেন সে সম্পর্কে দেশি-বিদেশি আর্টিকেল পড়ুন, আপনার কর্মক্ষেত্রের সাথে সম্পর্কযুক্ত ভোকাবুলারি গুলো শিখুন, আপনি নিঃসন্দেহে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন। প্রতিদিন অন্তত একটি মোটিভেশন আর্টিকেল বা নির্দিষ্ট বিষয়ের আর্টিকেল পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

নতুন কিছু শিখুন

কথায় আছে শিক্ষার কোন বয়স নেই। আপনি যতই শিখবেন আপনার জীবনে সেটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কাজের পাশাপাশি নতুন ভাষা শিখতে পারেন, প্রোগ্রামিং শিখতে পারেন, ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে পারেন। এই বিষয় গুলো আপনাকে জ্ঞানের দিক থেকেই শুধু সমৃদ্ধ করবে এমনটি নয় বর্তমান সময়ে এগুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

অন্যকে পর্যবেক্ষণ করুন

আপনি যার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন তাকে পর্যবেক্ষণ করুন। তার ভাল গুলো নিজের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করুন। মানুষ তার যেগুণ গুলোর প্রশংসা করে সে সমস্ত গুন গুলোতে নজর দিন।

নেটওয়ার্ক বাড়ান

আপনি যত বেশি মানুষ জনের সাথে মিশবেন তত বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। বিভিন্ন জনের পারসোনালিটি পর্যবেক্ষণ করুন তারা কিভাবে আচরণ করে জানুন, তাদের থেকে নতুন কিছু শিখুন।

বর্তমান সময়ে নেটওয়ার্ক বাড়ানো আগের চেয়ে অনেক সহজ, সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর সহযোগিতায় আপনি সে সমস্ত মানুষকে অনুসরণ করতে পারেন যারা আপনার পারসোনালিটি বিল্ড করতে নতুন ধারণা দিতে পারে।

মেডিটেশন

অনেকে নিজের স্ট্রেস এবং উদ্বেগ হ্রাস করার জন্য মেডিটেশন করেন। এটি আপনার শারীরিক এবং মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই বেশ উপকারী। এটি আপনাকে কাজ থেকে নিজেকে দূরে রেখে নিজের লক্ষ্যে কিছু সময় মনোনিবেশ করার সুযোগ দেবে।

একজন পরামর্শদাতা খুঁজে বের করুন

আপনি কিভাবে নিজের পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট স্কিল গুলো অর্জন করবেন সে সম্পর্কে আরও ভাল ধারনা নিতে একজন মেনটর খুঁজে বের করতে পারেন। সেটা যেকেউ হতে পারে, আপনার কোন শুভাকাঙ্ক্ষী হতে পারে, আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার হতে পারেন অথবা প্রফেশনাল কেউ হতে পারে। সঠিক পরামর্শ দাতা কেবল আপনাকে পরামর্শই দেবে না একই সাথে আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।

কর্মক্ষেত্রে পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট স্কিল গুলো প্রয়োগ

পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট স্কিল আপনার জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই কাজে আসবে। চলুন দেখে নিই কর্মক্ষেত্রে কিভাবে আপনি স্কিল গুলো প্রয়োগ করবেন।

একজন ভাল শ্রোতা হোন

আমরা আগে জেনেছি সঠিক কমিউনিকেশনের জন্য অন্যকে ভাল করে শুনতে হবে। আপনার সহকর্মী বা যারা আপনার অধীনে কাজ করে, তারা কি বলছে বা বুঝাতে চাচ্ছে সেটা মনোযোগ দিয়ে শুনার চেষ্টা করুন। এটি সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য সেটা হোক কারো সাথে ফোনে কথার সময় বা ইন্টারভিউ বোর্ডে বসার সময়।

অন্যের সাথে নিজের সর্বোচ্চ টা দিয়ে কাজ করুন

আপনি যখন কোন কাজ বা প্রজেক্ট অন্য কারো সাথে করবেন তখন নিজের জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা দিন। এটি আপনার অবস্থানকে অন্যের নিকট ইতিবাচক করে তুলবে। অন্যদেরকে কাজের প্রতি উৎসাহিত করুন। নিজের এই সামাজিক গুণাবলি গুলো অন্যের কাছে প্রদর্শন করতে পারলে তাদের সাথে আপনার একটি ভাল সম্পর্ক তৈরি হবে।

নিজের, সময়, কাজ সঠিক ভাবে সাজিয়ে রাখুন

আপনি নির্দিষ্ট টাস্ক গুলো কিভাবে করবেন এটি আগে থেকে নির্ধারণ করে রাখুন। এতে করে দ্রুত আপনার কাজের অগ্রগতি হবে। কোন কাজটি আগে করবেন কোনটি পরে সেটা আগে থেকে সাজিয়ে রাখুন।

চ্যালেঞ্জিং মুহূর্তে সচেতন হোন

আপনি যখন কোন চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন তখন ধীরে সুস্থে চিন্তা করুন। প্রথমে সমস্যা সমাধানের একাধিক সমাধান খোজে বের করুন এবং আপনার জন্য কোনটি সেরা হবে সেটা নির্ধারণ করুন। কঠিন ভাবে চিন্তা না করে বিষয় গুলো ইতিবাচক ভাবে ভেবে সিদ্ধান্ত নিন।

নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন

যখন আপনার নিজের সিদ্ধান্তে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে তখন অন্যরাও আপনাকে বিশ্বাস করতে শুরু করবে। আপনি আত্মবিশ্বাসী হলে আপনার একাধিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা তৈরি হবে, ঝুঁকি নিতে পারবেন।

ভিন্ন পরিবেশে খাপ খাওয়ানো

আপনাকে হতে হবে অনেক বেশি নমনীয়, কাজ অথবা ব্যক্তিগত জীবন উভয় ক্ষেত্রেই নতুন ঘটনায় নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। একা কাজ করা বা টিমের সাথে কাজ করা উভয় দিকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনাকে নতুন ধারনা এবং বিশ্বাস গ্রহণ করতে হবে। যখন আপনি নিজের মধ্যে এই গুনটি নিয়ে আসতে পারবেন তখন আপনার কাজের প্রেশার এবং স্ট্রেস অনেকাংশেই কমে আসবে।

সত্যবাদী হোন

সহকর্মী তথা সুপারভাইজারদের কাছে নিজের ইতিবাচক ইমেজ তৈরি করতে সততার বিকল্প নেই। কর্ম ক্ষেত্রে সৎ থাকা এবং নিজের ভ্যালুকে ঠিক রাখার মাধ্যমে আপনার সম্মান বাড়বে এবং সবার নিকট আপনি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবেন।

কাজের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোন

আপনি নিজের কাজের প্রতি সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার চেষ্টা করুন। কর্মক্ষেত্রে নৈতিকতার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করুন। কাজের প্রতি সচেতন থাকলে একদিকে যেমন সঠিক সময়ে আপনার কাজটি সম্পন্ন হবে অন্যদিকে আপনার অধস্তনরা আপনাকে দেখে উৎসাহিত হবে।

অন্যদের সঠিক ভাবে গাইড করুন

যারা আপনার অধীনে কাজ করবে তাদের সঠিক ভাবে গাইডলাইন দিন। সব সময় তাদের পাশে থাকুন, তাদের কাজ ভাল করে বুঝিয়ে দিন, প্রয়োজনে বারবার জিজ্ঞেস করুন অস্পষ্টতা আছে কিনা। তাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলুন। সব সময় তাদের কন্ট্রোল করার মানসিকতা বর্জন করে তাদের সাথে নমনীয়তা বজায় রাখুন।

কিভাবে এবং কোথায় আপনার পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট স্কিল গুলো হাইলাইট করবেন?

এতক্ষণ আমরা জানলাম কোন কোন স্কিল গুলো আমাদের ব্যক্তি জীবন এবং কর্মজীবনের জন্য জরুরি এবং আলোচনা করলাম কিভাবে কর্মক্ষেত্রে সেই সমস্ত দক্ষতা প্রয়োগ করা যায়। এখন আমরা দেখব আমরা কোন কোন উপায়ে নিজেদের এই দক্ষতা বা স্কিল গুলো হাইলাইট করতে পারি।

আপনার সিভিতে স্কিল গুলো হাইলাইট করুন

আপনি যখন আপনার সিভি তৈরি করবেন তখন সেখানে Skills নামে আলাদা একটি সেকশন তৈরি করুন। সেই সেকশনে আপনার সকল স্কিল অন্তর্ভুক্ত করুন। পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট স্কিল গুলো অবশ্যই লিপিবদ্ধ করুন তবে অতিরিক্ত স্কিল থাকলে সেগুলোও ক্যাটাগরি আকারে সাজিয়ে উপস্থাপন করুন।

কাভার লেটারে পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট স্কিল গুলো হাইলাইট করুন

আপনার জবের চাহিদা অনুযায়ী কিছু পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট স্কিল কাভার লেটারেই তুলে ধরুন, এতে আপনার আলাদা আইডেন্টিটি প্রকাশ পাবে। কাভার লেটারের বডিতে ছোট করে নিজের স্কিল গুলো উপস্থাপন করুন। চাইলে এই স্কিল গুলো কিভাবে অতীতে আপনাকে সাহায্য করেছে তার উদাহরণ দিতে পারেন।

ইন্টারভিউ বোর্ডে পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট স্কিল গুলো হাইলাইট করুন

ইন্টারভিউ বোর্ডে যাবার আগেই আপনি ভাল ভাবে কিছু বিষয় রপ্ত করে নিন। যেমন প্রায় প্রতিটি ইন্টারভিউ এ কিছু কমন প্রশ্ন থাকে এমন, What are your strengths and weaknesses?” “What are your goals?” আমরা কেন আপনাকে নেব? ইত্যাদি। এই প্রশ্ন গুলোর উত্তরে আপনি নিজের স্কিল গুলো তাদের সামনে তুলে ধরুন। ভাল হয় আপনি অতীতের কোন ঘটনা বা অভিজ্ঞতা তুলে ধরুন যেখানে আপনি সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করেছিলেন।

শেষ কথাঃ

তো এই কয়েকটা পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট স্কিলের মাধ্যমে, আপনি ব্যক্তি জীবন এবং কর্মক্ষেত্র উভয় ক্ষেত্রে সুফল পেতে পারেন। সব সময় মাথায় রাখবেন এই দক্ষতা গুলো একদিনে আপনার মাঝে চলে আসবে না, আপনাকে সময় দিতে হবে তাহলেই কেবল আপনার লক্ষ্যে পৌছাতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button