শিশুকে লাইফ স্কিল শেখানোর আগে যে বিষয় গুলো বিবেচনা করবেন
শিশুকে লাইফ স্কিল শেখানোর আগে যে বিষয় গুলো বিবেচনা করবেন
লাইফ স্কিল হচ্ছে ব্যাসিক কিছু গুণাবলির সমষ্টি যেগুলো একজন ব্যক্তিকে তার জীবন দক্ষতার সাথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে। যত তাড়াতাড়ি লাইফ স্কিল গুলো অর্জন করা যায় ততই ভাল। আগামীর চ্যালেঞ্জিং সময়কে মোকাবিলা করতে লাইফ স্কিল শিক্ষা নেয়া উচিৎ একজন মানুষের বাচ্চা কাল থেকেই। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানব কীভাবে আপনার শিশুকে ছোট বেলা থেকেই লাইফ স্কিলের শিক্ষা দেবেন।
লাইফ স্কিল শেখানোর আগে বিবেচনা
আপনার সন্তানকে কখন কোন লাইফ স্কিলটি শেখাবেন এটা আগে থেকে বিবেচনা করে নিন। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু শেখানোর চেষ্টা করা একদম উচিত না। সুতরাং কোন স্কিল শেখানোর আগে অবশ্যই কিছু বিষয় আপনাকে বিবেচনায় রাখতে হবে।
একটি লাইফ স্কিল শেখানো উচিৎ কিনা এই সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে প্রথমে ভেবে নেবেন আপনার সন্তান নির্দিষ্ট বিষয়টি শিখতে প্রস্তুত কিনা বা তার উপযুক্ত বয়স হয়েছে কিনা। সব বয়সে শিশুরা সব কিছু শিখতে না পারাটাই স্বাভাবিক। আপনাকে দেখতে হবে সে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত কিনা।
কখন শিশুকে শেখাবেন এটাও আপনাকে ভেবে নিতে হবে। কোন নতুন বিষয় শেখানোর জন্য এমন একটি সময় নির্ধারণ করবেন যখন শিশুরা তা শিখতে চাইবে বা বিরক্ত হবে না। যেমন শিশু যখন ক্ষুধার্ত থাকবে তখন তাকে কোন কিছু শেখাতে চেষ্টা করবেন না, একই ভাবে স্কুল থেকে ফেরার পর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিলে কোন কিছু না শেখাতে চাওয়াই ভাল। ভুল সময়ে কিছু শেখাতে গেলে সেটা শিশুর কাছে বিরক্তির কারণ হতে পারে।
শিশুকে কিছু শেখানোর আগে এটি তার জন্য কতটা কঠিন বা সহজ হতে পারে তা বিবেচনায় রাখুন। আপনার সন্তান কাছে যে বিষয়টি একেবারে নতুন সেটা তাকে না শিখিয়ে আগে বিষয়টিকে তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিন। যেমন আপনার সন্তানকে যেদিন প্রথম জুতা পরাবেন সেদিনই তাকে ফিতা বাধা শেখানোর দরকার নেই, সে দেখুক কিছুদিন এর পর আগ্রহ বিবেচনা করে শেখান৷
আপনার সন্তানকে কোন কিছু শেখাতে কখনোই তারাহুরো করবেন না। মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মানুষ চাইলেই হুট করে কোন কিছু শিখতে পারে না, এর জন্য তাকে সময় দিতে হয়। আপনিও সময় নিন এবং ধীরে ধীরে কোন স্কিল আপনার সন্তানকে শেখানোর চেষ্টা করুন।
কোন কিছু শেখানোর সময় অবশ্যই তার প্রতি পজিটিভ আচরণ করুন। কোন কিছু শেখানোর আগে আপনাকে শেখানোর পদ্ধতি জানতে হবে। শেখানোর পুরোটা সময় আপনাকে শিশুর ইতিবাচক দিক গুলোতে ফোকাস করতে হবে। সে কি পারছে না এটা ফোকাস না করে সে কি কি করতে পারছে সেদিকে আপনাকে ফোকাস করতে হবে। কাজের প্রশংসা করতে হবে। তাকে বলা যাবে না, এটা কেন পারছো না বরং বলতে হবে এটা চমৎকার হয়েছে, তুমি চাইলে আরও ভাল করতে পারবে। শেখানোর এই প্রক্রিয়ার মধ্যে সুনাম এবং পজিটিভ আচরণ গুলো শুধু শিশুকে শেখার প্রতি আগ্রহী করে তুলবে। ধমক দেয়া বা ভয় দেখানোর ফলে একটি বিষয় শিখতে শিশু অনীহাও প্রকাশ করতে পারে।
আপনি যা শেখাচ্ছেন বা যা বুঝাচ্ছেন সেটা সে ঠিক মত গ্রহণ করতে পারছে কিনা সেটা নিশ্চিত করুন। প্রথমে দেখুন সে ঠিক মত বিষয়ে বুঝেছে কিনা। এর পর তাকে প্র্যাকটিস করার জন্য যথেষ্ট সময় দিন। এটা আমরা সবাই জানি যেকোনো কিছু শিখতে প্র্যাকটিস এর বিকল্প নেই। সুতরাং আপনি যা যা শেখাবেন সেটা যেন সময় নিয়ে আপনার সন্তান প্র্যাকটিস করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
সুতরাং আপনার সন্তানকে নতুন কিছু শেখানোর আগে অবশ্যই উল্লেখিত বিষয় গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করুন।
এমন আরো লিখা পড়ুন Life Doze ওয়েবসাইটে। ধর্ম, দর্শন, বিজ্ঞান বিষয়ে জানতে পড়ুন Insight Zone এর লিখা।